সোমবার ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

সালথায় মাটি কাটার হিড়িক মাটিবোঝাই ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক

ডেস্ক রিপোর্ট   |   মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট  

সালথায় মাটি কাটার হিড়িক মাটিবোঝাই ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক

সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুরের সালথায় মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম এই মাটি বিক্রি করে দেওয়ার সর্বনাশা কাণ্ডে মেতেছে। বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে ফসলি জমি, বাগান এমনকি নদের পাড়ের মাটিও। এতে যেমন ফসল ফলানোর জায়গা নেই তেমনি ঝুঁকিতে পড়ছে ঘর-বাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।


সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নের বড় খাড়দিয়া এলাকায় আলমগীর মিয়া নামে এক ব্যক্তির বাগান ভিটা ভেকু মেশিন দ্বারা কেটে ট্রলি যোগে মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। আলমগীর মিয়া যদুনন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অপরদিকে একই ইউনিয়নের খারদিয়ার সাধুহাটি গ্রামে রিপন ফকির নামে আরেক ব্যক্তি প্রায় ২ মাসের বেশি সময় ধরে ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রি করে আসছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, এভাবে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘর-বাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। এছাড়া মাটিবোঝাই ভারি ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। আর এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা জলকড়া জমিতে পরিণত হচ্ছে। আর বিলীন হচ্ছে গ্রামও।

এ বিষয়ে স্থানীয়রা আরও জানান, গ্রাম থেকে অপরিকল্পিতভাবে ফসলি জমি, বসতবাড়ি, বাগানসহ বিভিন্ন স্থান থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি যেমন ঝুঁকিতে পড়ছে। তাছাড়া ছোট যান চলাচলের রাস্তা দিয়ে ট্রলি চলার কারণে তা যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তায় কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণের জন্য সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে। আর ট্রলি চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ী তা নষ্ট করে ফেলছে।

এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

মাটি কাঁটার বিষয়ে ইট ভাটার মালিক আলমগীর মিয়া বলেন, আমি ডিসি অফিসের অনুমতি ও স্থানীয় প্রশাসন থেকে অনুমতি নিয়েই মাটি কাটছি।

 

Facebook Comments Box

Posted ৮:৫১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

Desh24.news |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
এম আজাদ হোসেন সম্পাদক ও প্রকাশক
বার্তা ও সম্পাদকীয় কার্যালয়

শ্রীসদাস লেন,বাংলাবাজার , ঢাকা-১১০০/ ঘিওর, মানিকগঞ্জ।

হেল্প লাইনঃ +৮৮০১৯১১৪৭৭১৪১/০১৯১১২২৭৯০৭

E-mail: infodesh24@gmail.com